তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে ছয় স্তরের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই খবরকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২০ জুন) সকালে লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ফলে দিনের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে। তবে পরে বিভ্রান্তি কেটে যাওয়ায় দিনশেষে সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।

দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। সূচক সামান্য বাড়লেও উভয় বাজারে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

এদিন ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির দাম। অপরদিকে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ারের।

ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার (২০ জুন) ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ১৬ লাখ ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

কিছু বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন আগের দিনের চেয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন এ বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড মিলস, বেক্সিমকো ফার্মা, ফরচুন সুজ, সামিট পাওয়ার, কনফিডেন্স সিমেন্ট, লুব-রেফ এবং এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ারের দাম। 

সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৫ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৯ টাকা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে উত্থান-পতনের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে বিএসইসি। এতে বলা হয়, ২০০ টাকা পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। ২০০-৫০০ টাকার দামের শেয়ার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারবে কিংবা কমতে পারবে। একইভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দামের শেয়ার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ হাজার টাকার বেশি দামি শেয়ার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। 

এমআই/জেডএস