শরিয়াহ অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল গঠন করলো বিএসইসি
ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজের সঠিক ইস্যু, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামী পুঁজিবাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি শরিয়াহ অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে এ কাউন্সিল গঠন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিকিউরিটিজ মার্কেট শরিয়াহ অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল) রুলস, ২০২২’- এর ৩ (১), ৪ ও ৫ নং বিধি অনুযায়ী কাউন্সিলটি গঠন করা হয়েছে।
বিধি অনুযায়ী, পরিষদে মোট ৯ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে ৫ জন ইসলামি শরিয়াহ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং ৪ জন বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কুষ্টিয়ার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহকে শরিয়াহ অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি ছাড়া কাউন্সিলে শরিয়াহ স্কলার হিসেবে মনোনীত অন্য চার সদস্য হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিসের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী, ঢাকার মিরপুর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুমের সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জামিয়াহ শরিয়াহ মালিবাগের সিনিয়র ডেপুটি মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
কাউন্সিলের অন্য চার সদস্যরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কবির হাসান (ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এক্সপার্ট), সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ওমর সাদাত (লিগ্যাল এক্সপার্ট), বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের সিইও এ কে এম মাজেদুর রহমান (ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপার্ট) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চীফ ফাইন্যান্স অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (অ্যাকাউন্টিং এক্সপার্ট)।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শরিয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ (আইএসবিএস) ইস্যু ও তদারকিতে এই পরিষদ বিএসইসিকে পরামর্শ দেবে। পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শরিয়াহসম্মত পুঁজিবাজার বিকাশে পরিষদটি কাজ করবে।
বিএসইসির মতে, শরিয়াহ পরামর্শক পরিষদ গঠন দেশের পুঁজিবাজারে ইসলামি আর্থিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। এতে শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেটের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ জোরদার হবে।
এমএমএইচ/এমএসএ