করোনাভাইরাসের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জুলাই মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ১২২ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এতে বাজার মূলধন বেড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার উন্নিত হয়েছে। যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে রেকর্ড।

বুধবার (৪ আগস্ট) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানা উদ্যোগের ফলে দেশের পুঁজিবাজার এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করছে। জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্ট মাসের প্রথম দুদিন পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। তার তাতে বাজার মূলধন বেড়ে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার উন্নিত হয়েছে। যা পুঁজিবাজারে ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ল।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন সবচেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থান করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম যাতে না বাড়ে সেই দিকে কমিশনকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডিএসই তথ্য মতে, তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক জুনের চেয়ে ২৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৪২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের জুন মাসের সর্বশেষ দিন সূচক ছিল ছয় হাজার ১৫০ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। 

প্রধান সূচকের পাশাপাশি শরিয়াহ সূচক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা জুন মাসের শেষ দিন ছিল এক হাজার ৩১৪.৭৫ পয়েন্ট। একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচক ১১৯ পয়েন্ট বেড়ে জুলাই মাসে দুই হাজার ৩২৭ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। এর আগ মাসের জুন মাসের শেষ দিন যা ছিল দুই হাজার ২০৮.৩৭ পয়েন্টে।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও সূচক বাড়ায় ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন ২০ হাজার ১২২ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বেড়ে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা জুনের শেষ দিন ছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮২ কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ২০ হাজার ১২২ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

এমআই/এইচকে