দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএপিএম বিডিবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড লিমিটেড।

ফান্ড দুটির ২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ট্রাস্টি কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সিএপিএম বিডিবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের (২০১৯ সালে) একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৬১ পয়সা।

আলোচিত অর্থবছরের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০) দুই প্রান্তিকে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৬০ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটি বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। একই সময়ে কস্ট প্রাইসে ইউনিট প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা।

২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।

ফান্ডটি ২০১৯ সালে ইউনিট হোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৮ সালে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানিটির পেইড আপ ক্যাপিটাল ৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা। বুধবার শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ১২ টাকায়। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয় ১২ টাকা ২০ পয়সায়।

অন্যদিকে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছরের (২০১৯ সালে) একই সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৪৬ পয়সা।

ফান্ডটির জুলাই-ডিসেম্বর দুই প্রান্তিকে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। ২০১৯ সালের জুলাই-থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইউনিট প্রতি লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত সময়ে ফান্ডটির বাজার মূল্য অনুযায়ী এনএভি হয়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা। একই সময়ে কস্ট প্রাইসে ইউনিট প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা।

২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।

ফান্ডটি ২০১৯ সালে ইউনিট হোল্ডারদের ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাদের পেইড আপ ক্যাপিটাল ৬৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বুধবার শেয়ারটির সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয় ২৭ টাকা ৪০ পয়সায়।

এমআই/জেডএস