ফাইল ছবি

বেক্সিমকো গ্রুপ, ব্যাংক ও নন-ব্যাংক খাত এবং টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়ারের দামবৃদ্ধি কেন্দ্র করে চারদিন উত্থান আর একদিন দরপতনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার।

আলোচিত এ সপ্তাহে বেড়েছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামের সঙ্গে সূচকও বেড়েছে। এতে করে হারানো ৩১ হাজার কোটি টাকার পুঁজি ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিদায়ী সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শুধুমাত্র গত বুধবার দরপতন হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা এবং আইএফআইসি ব্যাংকসহ বেশকিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়া ও কমার বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্তে এ দরপতন হয়। তবে পরদিন কমিশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় বাজারে আবারও বড় উত্থান হয়। আর তাতে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বেড়েছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে সংস্থাটিতে ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৬টির বেড়েছে, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টাকা।

এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৯৫১ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭০টাকা। অর্থাৎ বছরে সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে ৬শ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ কম।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামীণফোন ও রবিসহ বড় মূলধনী কোম্পানির দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩২৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ফলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার ২৭০ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৩১ হাজার ৪৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেলো।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৪১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৩ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭১ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৪২ কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৫ টাকা। গত সপ্তাহে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট থেকে এ অর্থ লেনদেন হয়েছিল।

লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে বেড়েছে ১৪৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির শেয়ারের দাম। আর তাতে বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ২২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এমআই/এমএইচএস