এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের লেনদেন শুরু আগামী সপ্তাহে

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আগামী সপ্তাহ থেকে লেনদেন শুরু হবে। কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে শেয়ার পাঠিয়েছে। তারপর দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদেও তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর কোম্পানির সচিব আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ডিএসইতে এনার্জিপ্যাকের লেনদেন শুরু হবে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজারের খাতে যাওয়া কোম্পানির শেয়ার পেতে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি আবেদন জমা পড়ে। ফলে এই বিনিয়োগকারীদের নির্বাচিত করতে গত ৩ জানুয়ারি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লটারি বিজয়ীদের বিও হিসাবে শেয়ার পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার পেতে আবেদন নেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের কোম্পানিটির ২ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার পেতে ক্ষতিগ্রস্ত, এনআরবি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মোট ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৭টি আবেদন জমা পড়ে। যা শেয়ারের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।

কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) ইস্যু করবে। কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা উত্তোলন করবে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে কোম্পানিটির আইপিওতে ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্তসীমা থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) কোম্পানির শেয়ার কিনবে।

এরপর বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারের কাট অব প্রাইস ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এ দরে ২ কোটি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৬টি ইস্যু করা হবে। তাদের কাছে থেকে উত্তোলন করা হবে ৭০ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৮১০ টাকা।

এই টাকা উত্তোলন করে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচখাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ১৫ টাকা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩ দশমিক ১৩ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এমআই/ওএফ