পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ব্যাংক দুটির মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৮০০ কোটি টাকার বন্ড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডকে ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৭৯০তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকের সভায় ইসলামী ব্যাংক ৮০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল, ফুল্লি পেইড আপ, ফ্লোটিং রেট, নন-কনভার্টেবল ব্যাসেল-৩ কমপ্লেইন্ট দ্বিতীয় পারপেচ্যুয়াল বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বন্ডটির ৭২০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ৮০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা। বন্ডটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হবে।

এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এডিশনাল টায়ার-১ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের ট্রাস্টি এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

একই সভায় শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল, ফুল্লি পেইড আপ, নন-কিউমিলেটিভ, ব্যাসেল-৩ কমপ্লেইন্ট পারপেচ্যুয়াল বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বন্ডটির ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা।

বন্ডটির কুপন হার ছয় শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়েগাকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এডিশনাল টায়ার-১ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে এই বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ৫ কোটি টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ৫ হাজার টাকা। এই বন্ডের ট্রাস্টি এমটিবি ক্যাপিটাল এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট।

এছাড়াও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্সের ৩০০ কোটি টাকার (মোটি ইস্যু প্রাইজ ৩৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত বন্ডের ডিসকাউন্ট হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৯শতাংশ, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ফান্ড ও স্বায়ত্তসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স কর্পোরেট, রিটেইল এবং এসএমই সেক্টরে পুনঃবিনিয়োগ বা ঋণ প্রদান করবে। এই বন্ডের প্রতি লটের অভিহিত মূল্য ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ টাকা। এই বন্ডের ট্রাস্টি আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল।

এমআই/জেডএস