ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারসহ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে ২০৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তবে বিমা খাতের পাশাপাশি বড় মূলধনী গ্রামীণফোন, পাওয়ার গ্রিড এবং সামিট পাওয়ারসহ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের উত্থান হয়েছে।

তাতে দিনভর সূচক উঠানামা শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৩০ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও।

ডিএসইর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বাজারে মোট ৩৬৫টি কোম্পানির ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪৭টি শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ২২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৭৭ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

তাতে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭১ কোটি ৩১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৪ কোটি ৭২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, তৃতীয় স্থানে ছিল সাইফ পাওয়ারের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, আইপিডিসি, জেনেক্স ইনফোসেস, লাফার্জহোলসিম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা এবং আইডিএলসি লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩০ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১৮৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭২ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৯ টাকা।

এমআই/জেডএস