একদিন সূচক বৃদ্ধি আর চারদিন সূচক পতনের মধ্যদিয়ে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ (১০ থেকে ১৪ অক্টোবর) পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এই সপ্তাহে সূচক পতনের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

অর্থাৎ সপ্তাহটিতে সব কয়টি সূচকের নিন্মমুখী ধারা ছিল পুঁজিবাজারে। আর তাতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে (বাজার মূলধন) দুই হাজার কোটি টাকা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স) আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ২৩৪ পয়েন্টে নেমেছে। এ সময় ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ২৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে নেমেছে ২ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে।

এ সময় ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়া কমেছে ২৩১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছিল। এছাড়া কমেছিল ২৭২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

ডিএসইর তথ্য মতে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ হাজার ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯ টাকা কমে ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায় অবস্থান করছে। যা এর আগের সপ্তাহে ছিল ৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৪ কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে পাঁচ কার্যদিবসে মোট ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকা লেনদেন হয়। এর আগের সপ্তাহে মোট পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১২ হাজার ৭২৪ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭০১ টাকা। অর্থাৎ, আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৬৬২ কোটি ৮৫ লাখ ৬ হাজার ৫৪৮ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে ২৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি পুঁজি কমেছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে। এরপর পুঁজি কমেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডর শেয়ার। এই কোম্পাটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ হারে। এরপর যথাক্রম পুঁজি কমেছে এনভয় টেক্সটাইল, এইচ আর টেক্সটাইল, সিলভা ফার্মাসিটিউক্যালস, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিউক্যালস, এক্টিভ ফাইন কেমিক্যালসের। মতিন স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সবচেয়ে বেশি কমেছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পাঁচ কার্যদিবসে মোট ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৩ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯২ টাকা। অর্থাৎ, লেনদেন কমেছে ১৮৩ কোটি টাকার বেশি।

সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩২৫ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ২৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এমআই/এমএইচএস