পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (করোনাকালীন সময়ে) মুনাফা বেড়েছে। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২০-ডিসেম্বর’২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইবেনে সিনার কোম্পানি সচিব মো. শহিদ ফারুকী ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানির দ্বিতীয় প্রন্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর অনুমোদন করা হয়েছে। করোনার সময়ে কোম্পানির মুনাফা ভালো হয়েছে। আশা করছি, আগামীতে আরও ভালো মুনাফা হবে।

১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানটি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কনসুলেটেড (সমন্বিতভাবে) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪৩ পয়সা। অথাৎ ৫২ পয়সা ইপিএস বেড়েছে।

ছয় মাস অর্থাৎ দুই প্রান্তিকে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) কোম্পানির কনসুলেটেড শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা।

বিদায়ী প্রান্তিকে এককভাবে কোম্পানিটির কনসুলেটেড ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কনসুলেটেড ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪৩ পয়সা।

ছয় মাসে (জুলাই’২০-ডিসেম্বর’২০) এককভাবে ইবনে সিনার ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৩৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ছিল ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৬৯ পয়সা।

এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৬১ টাকা ২৩ পয়সা।

কোম্পানিট ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৮ দশমকি ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৪৬ টাকা ৫০ পয়সায়।

বর্তমানে ইবনে সিনার উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৪৪ শতাংশ শেয়ার, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/ওএফ