শেয়ার বিক্রির চাপে নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩১ জানুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৭৫ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২০১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

ব্যাংক-বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২১টি খাত ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে সবকটি খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। এ কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবস রোববার মোট ৩৫৬টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ২১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় তিন সূচকে পথ চলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের (বৃহস্পতিবার) চেয়ে ৭৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১৫ পয়েন্ট কমেছে।

এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮২৩ কোটি ১০ লাখ ৬হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৪১ কোটি আট লাখ নয় হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি আজিয়াটা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এনার্জিপ্যাক, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং লাফার্জ হোলসিম লিমিটেড।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে এমআই সিমেন্ট, বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশন, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, হাওয়েল টেক্সটাইল, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, মালেক স্পিনিং, আরমিট, আরডি ফুড, এবং বেক্সিমকো লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০১ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির।

লেনদেন হয়েছে মোট ৮২ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার টাকার।

এমআই/জেডএস