বিদায়ী বছরের (২০২১ সালে) ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ রিটার্ন নিয়ে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। অন্যদিকে করোনার ধাক্কায় সবচেয়ে কম রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ ও বিনোদন খাত থেকে। এই দুই খাতসহ পুঁজিবাজারে মোট ২২টি খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আলোচিত বছরে ২২ খাতের শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের ইউনিট কেনা-বেচা বাবদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ২ লাখ কোটি টাকা বেশি। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২১ সালে ডিএসইতে মোট ২৪০ কার্যদিবস শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটি কেনা-বেচা হয়। তাতে লেনদেন হয়েছে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৫২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। আর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ২০৮ কার্যদিবসে শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮১ কোটি ২২ লাখ টাকার।

সেই হিসাবে বিদায়ী বছরের আগের বছরের তুলনায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ১৬২ শতাংশ লেনদেনে বেড়েছে ডিএসইতে। ৩ লাখ কোটি টাকার মধ্যে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৪২ হাজার ৬৮১ কোটি ৫৯ লাখ ৩ হাজার ২২৮ টাকার লেনদেন করেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের ছয়টি কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় চার গুণ। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম প্রায় ২২ গুণ। এছাড়াও এখাতের কোম্পানি সোনালী পেপারের শেয়ার দাম বেড়েছে তিনগুণের বেশি। বাকি কোম্পানিগুলোর গড় বিবেচনায় এ খাত থেকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারদরের বিপরীতে রিটার্ন এসেছে সর্বোচ্চ।

রিটার্নের দিক দিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাতের তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানির। এ খাত থেকে বিনিয়োগকারীদের রিটার্ন ছিল ৮১ দশমিক এক শতাংশ। বেক্সিমকো, অরামিট সিমেন্ট, আমান ফিড ও ইনডেক্স এগ্রোর মতো কোম্পানিগুলো এ খাতের অন্তুর্ভুক্ত।

এছাড়া ৮০ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া গেছে ট্যানারি খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগের বিপরীতে। এরপর থাকা আইটি খাত ৫৬ দশমিক তিন শতাংশ, খাদ্য ৫১ দশমিক দুই শতাংশ, সিমেন্ট ৪৫ দশমিক তিন শতাংশ, সেবা ৪৪ দশমিক আট শতাংশ, বস্ত্র ৪১ দশমিক আট শতাংশ, সাধারণ বিমা ৩৭ দশমিক ছয় শতাংশ, জীবন বিমা ৩৪ শতাংশ, ব্যাংক ৩০ দশমিক ছয় শতাংশ, সিরামিক ২৯ দশমিক আট শতাংশ, এনবিএফআই ২২ দশমিক সাত শতাংশ, ওষুধ খাত ২০ শতাংশ, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাত ১৪ দশমিক সাত শতাংশ, প্রকৌশল খাত ১৩ দশমিক দুই শতাংশ, টেলিকম খাত আট দশমিক আট শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড আট দশমিক সাত শতাংশ ও ভ্রমণ খাতে তিন দশমিক ৯ শতাংশ রির্টান দিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

এমআই/এসএম