টানা দুদিন উত্থানের পর সপ্তাহের চতুর্থদিন বুধবার (১২ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিন ব্যাংক-বিমা, প্রকৌশল, বস্ত্র এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার বিক্রির চাপে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচক ও লেনদেন উভয় কমেছে।

সোম ও মঙ্গলবার দুদিন উত্থানের পর আজ বুধবার দরপতন হলো। এই দরপতনের ফলে একদিনের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট থেকে কমে ৬ হাজার পয়েন্টের ঘরে অবস্থান করছে। অর্থাৎ ৭ হাজার পয়েন্ট সূচক স্থায়ী হচ্ছে না।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার সূচক বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে বাজারে দিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, মাত্র আধা ঘণ্টা লেনদেন হওয়ার পরই শুরু হয় বস্ত্র, বিমা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার বিক্রির হিড়িক। শেয়ার বিক্রিকে কেন্দ্র করে কমতে শুরু করে সূচক, যা অব্যাহত ছিল দিনের লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।

দিন শেষে বাজারে বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতা কম থাকায় ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৮০২টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে (৬ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে)। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ১ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট।

এতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি ১৭ লাখ ৮ হাজার টাকা শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ৩শ কোটি টাকা।

এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ারের। এরপর ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসসি, পাওয়ার গ্রিড, আরকে সিরামিক, তিত্যাস গ্যাস, রবি আজিয়াটা, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসসিসিএল এবং বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৯ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৭টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির। এদিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৭২ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৪৮০ টাকার শেয়ার।

এমআই/এসএম