বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৩ জানুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। 

এদিন বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১১৫ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। এর ফলে টানা ছয় কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

বিষয়টিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মূল্যসংশোধন বলছেন। তারা বলেছেন, ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কয়েকদিন বেড়েছে। আজ তারা শেয়ার বিক্রি করে প্রফিট তুলে নিয়েছে। তাতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারে দাম কমেছে, কমেছে সূচকও। উত্থানের পর পতন এটাই পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। এতে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই।  

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ২৭ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪৮টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে দশমিক ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।

ডিএসইতে রোববার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ছিল বিএসসি, পাওয়ার গ্রিড, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুট, সোনালী পেপার, সাইফ পাওয়ার, ফরচুন সুজ, এসিআই, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এবং লিন্ডে বিডি লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৫ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৭০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৯টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দাম। 

এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৩৫ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ৯ লাখ ৩ হাজার ৮২৪ টাকার শেয়ার।

এমআই/জেডএস