ব্যাংকখাতের দাপটে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১৬৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এরপর গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের পাশাপাশি ব্যাংকখাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম বাড়ায় পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এ খাতের তালিকাভুক্ত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ৬টি শেয়ারের দাম।

সূচকের উত্থানের পেছনে ব্যাংকের পাশাপাশি বিমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের অবদানও ছিল। কারণ এই দু’খাতের শেয়ারের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।
 
এদিকে তিনদিন টানা দরপতনের পর দু’দিন সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কিছুটা কমেছে। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্য সংশোধনের পর ইতিবাচক ধারায় ফিরছে পুঁজিবাজার।

ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দু’দিন শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কিছুটা কেটেছে। তবে উত্থান-পতন পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সূচক বাড়লে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন আরও বাড়বে। তখন বিক্রি করেন না। আবার যখন কমে তখন হতাশ হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান। বিনিয়োগকারীদের এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার মোট ৩৫৫টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ১০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭১৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৯৪ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। 

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি আজিয়াটা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, এনার্জিপ্যাক, গ্রামীণফোন এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বে লিজিং, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, আইডিএলসি, আমান কটন ফাইবার্স, ইউসিবি এবং ইউনিলিভার।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৩৫ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার।

এমআই/জেডএস