ব্যাংক হিসাব না থাকলেও মোবাইল ব্যাংকিং (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) হিসাব বিও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংক করে নতুন বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারী বাড়াবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ লক্ষ্যে বিকাশের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নতুন ট্রেক থ্রিআই সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া।

থ্রিআই সিকিউরিটিজ নতুন প্রজন্মের একটি ব্রোকারেজ হাউস। ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের আওতায় নতুন ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু করা হয়। ট্রেকগুলো পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবে।

তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, এখন অনেকের ব্যাংক হিসাব না থাকায় বিও হিসাব খুলতে পারে না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও বিকাশ, নগদ বা উপায়ের হিসাব লিংক করা গেলে নতুন ইনভেস্টমেন্ট আসতে পারে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিকাশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি, যাতে তাদের অ্যাকাউন্টগুলোকে বিও হিসাবের সঙ্গে লিংক করা যায়। এটা খুব প্রয়োজন। অনেকে ব্যাংক হিসাব খোলেন না। কিন্তু সবার হাতেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা সম্ভব।

নতুন প্রজন্মের ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে লেনদেন চালুকে নতুন অধ্যায় আখ্যা দিয়ে তারিক আমিন বলেন, আমরা চাইব নতুনরা পুঁজিবাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনবেন। অবশ্যই কিছু বিদ্যমান বিনিয়োগকারী ক্লায়েন্ট থাকবে, কিন্তু নতুন বিনিয়োগকারী আনতে হবে। নতুন বিনিয়োগকারী ছাড়া মার্কেট গ্রো করবে না।

মার্কেট ক্যাপিটাল টু জিডিপি রেশিও অনেক কম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাইছি মার্কেটকে গ্রো করতে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ২০ শতাংশ। এখান থেকে বের হতে পারছি না। জিডিপি যে হারে বাড়ছে, পুঁজিবাজার সেভাবে বাড়ছে না।

থ্রিআই সিকিউরিটিজের মালিক ইস্তাক আহমেদ বলেন, ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো পরামর্শ দেওয়া হয় না। কিন্তু আমরা নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরামর্শ দেব।

তিনি বলেন, কেবল পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীই নয়, আমরা নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনব। বড় বড় উদ্যোক্তাদের ফান্ড নিয়ে আসব, যা দেশের পুঁজিবাজার তথা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

এমআই/জেডএস