বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে ভুল তথ্য দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুইদিনে দেশে বিভিন্ন জেলার ৯ জন প্রধান শিক্ষকের তিন মাসের বেতন কর্তন করা হয়েছে। যারা নিয়োগ শুরু হওয়ার পর স্কুল থেকে শূন্য শিক্ষক পদের ভুল চাহিদা দিয়েছিল। বাকীদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় চক্রের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ভুল তথ্যের কারণে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েও কয়েক হাজার প্রার্থী যোগদান ও এমপিওভুক্ত নিয়ে জটিলতায় পড়েছিলেন। এরমধ্যে এক হাজার ২৭০ জন এখনও নিয়োগ পায়নি। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ ঘোরাঘুরি করেও নিয়োগ পাচ্ছেন না। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট পদে নিয়োগ, প্যাটার্ন জটিলতাসহ নানা সমস্যায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। এসব জটিলতার মূলে ছিলেন শূন্যপদের ভুল তথ্য পাঠানো প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষক নিয়োগের ভুল তথ্য পাঠানো এমন ৯ প্রতিষ্ঠান প্রধানের তিনমাসের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ও বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলাদা আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দায়ীদের এমপিও কেটে রাখার নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। 

তিন মাসের বেতন হারানো শিক্ষকরা হলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আলীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান। বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোফাফফর হোসেন, বগুড়া সদর উপজেলার আলোর মেলা কে জি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী সুশীল কুমার পাল, খাগড়াছড়ি জেলা দীঘিনালা উপজেলার অনাথ আশ্রম আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলাল আন্ধরমানিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিটুন মিত্র, পটুয়াখালীর জেলা দুমকি উপজেলা আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র লষ্কর, পিরোজপুর সদর উপজেলার অ্যাপেক্স ক্লাব নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে তারা গর্হিত কাজ করেছেন। তাদের এ ভুলের কারণে অনেক চাকরি প্রার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ দরজায় দরজায় ঘুরছেন। এর দায় শিক্ষকদের অবশ্যই নিতে হবে।

এনএম/ওএফ