শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, এবার বাজেটে শিক্ষাখাতে ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে বাজেট বরাদ্দের চেয়ে দক্ষতা, কর্মভিত্তিক প্রশিক্ষণের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। কারণ এটাও শিক্ষার একটি অংশ। শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানব সক্ষমতা। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও অ্যাডুকেশন ওয়াচ আয়োজিত ‘আমাদের শিক্ষা বাজেটের গতি-প্রকৃতি ও আগামীর প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী।

উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে কি না নজরে রাখতে হবে। প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কতটা সঠিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। মুখস্থ বিদ্যাকে আমাদের এখানে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু আমরা এখন কাজ করছি কারিকুলামে পরিবর্তন নিয়ে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ কী সমাধান? অনেক সময় সেটি হলে শিক্ষার মান কমে যায়। সেখানে ব্যবস্থাপনাগত ঘাটতি তৈরি হয়। তখন বদলির তদবির শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজধানী-কেন্দ্রিক মানসিকতা থাকে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক বরাদ্দ দিচ্ছেন। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেসিবিলিটি প্রতিষ্ঠা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক বড় একটি মডেল। বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোটা চ্যালেঞ্জ না, কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে অনেক কাজ করার আছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং জবাবদিহিতা সবচেয়ে জরুরি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে। বরাদ্দ আরও বাড়লে তখনও হয় দেখা যাবে অনেকটা অব্যয়িত থেকে যাবে। প্রত্যেক শিক্ষককে আইসিটির বিষয়গুলো শিখতে হবে। কারণ, শিক্ষার্থীদের শেখাতে হলে আগে নিজেকে শিখতে হবে। প্রচুর প্রশিক্ষণ আমরা দিচ্ছি, বরাদ্দও আছে। তবে প্রশিক্ষণের ফলাফল কী সেটা অনেক সময় আমরা দেখতে পাই না।

এএজে/এসকেডি