শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর-দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, সেবা নিতে এসে একজন সেবাগ্রহীতাও যেন বিমুখ না হন।

আজ রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে এর অধীন ২৩টি অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সাথে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) চূড়ান্ত মূল্যায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সরকারের ৫১টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। তবে শিক্ষা সেক্টরে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন ভালো না থাকায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়াতে হবে। যদি সেবাগ্রহীতাকে তার কাজ করে দেওয়া সম্ভব না হয়, তবুও তিনি যেন তৃপ্তি নিয়ে ফেরত যেতে পারেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, হাই লেভেল অ্যাসেসমেন্ট হলো ন্যূনতম মানদণ্ড। এতে সন্তুষ্ট হলে চলবে না। নাগরিক সেবা উন্নত হচ্ছে না। যারা প্রান্তিক পর্যায়ের সেবা গ্রহীতা, তারা সেবা পাচ্ছে না। উচ্চ পর্যায়ের পুরস্কার পেলেই জনগণের চিন্তা-ভাবনা ইতিবাচক হবে তা নয়। আমাদের সেবা সম্পর্কে পাবলিক পারসেপশন এখনও ভালো না। আমরা ভোগান্তিহীনভাবে সেবা দিতে পারছি না। 

তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের বাজেট বাড়ছে কিন্তু সেবার মান বাড়ছে না। অর্থ অনেক খরচ হচ্ছে অথচ প্রভাবমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পারছি না। প্রভাবমুক্ত ও ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। 

সেবার মান ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, কিছু দিন আগে আমরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়েছি ২৩৩ জনকে। এ পদোন্নতির জন্য আমরা ছাড়পত্র পেয়েছিলাম ডিসেম্বর মাসে। 

তিনি বলেন, আমরা যদি জানুয়ারিতে পদোন্নতি দিয়ে দিতাম কোনো সমস্যা ছিল না। এতে কোনো বাধাও ছিল না আমাদের। আমরা দিতে দেরি করায় আট জন মারা গেছেন, ২৪ জন পিআরএলে গেছেন। শেষ পর্যন্ত যখন প্রস্তাব পাঠাই, তখন আরও একজন পিআরএলে চলে গেছেন। আমার মনে হয়, তাদের এ ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করায় আমাদের আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। 

এএজে/আরএইচ