বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে বাজেট দেওয়া হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (২৯ জুন) ইউজিসি আয়োজিত দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম এ কথা জানান।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কমিশনের সদস্য ও এপিএ বাস্তবায়ন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপিএ টিমের ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে কমিশনের উপ-পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক দিল আফরোজা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় ও কমিশনের ব্যয় বাবদ সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে ইউজিসি। এখানে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য মনিটরিং করা হবে। একইসঙ্গে ইউজিসির কারও বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, ইউজিসি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ বিধিবদ্ধ সংস্থা ও জাতির মেরুদণ্ড গড়ার প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেটি তদন্ত করা হবে।

সরকারকে দুর্নীতি প্রতিরোধে জনবল নিয়োগে হায়ারিং অ্যান্ড ফায়ারিং ব্যবস্থা চালু রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, চাকরি চুক্তিভিত্তিক হলে কাজে গতি আসবে এবং জবাবদিহি বাড়বে। দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তি ও কর্ম জীবনে সৎ থাকার পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, দুর্নীতির কারণে সমাজে আয় বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। অবৈধ সম্পদ যাতে কেউ অর্জন করতে না পারে সেজন্য যথাযথ আইন প্রয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে হবে। দুর্নীতির সুযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে ক্যাশ লেস সোসাইটিতে দ্রুত পদার্পণ করতে হবে।

এএজে/এসকেডি