স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কলামিস্ট ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী  বলেছেন, বাংলা ভাষাকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী অপপ্রচার করেছে, নানা ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার অস্তিত্বের ক্ষেত্রে কোনো দিন আপস করেননি।

তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশের সকল স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ও পথপ্রদর্শক। 

সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষায় নিহিত রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা ও লড়াকু চেতনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও একুশের চেতনাকে ধারণ করেই সকল সংকট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যত বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলা ভাষাও তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। 

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএসএমএমইউর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। 

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। যতদিন বাংলাদেশ আছে ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালির হৃদয় থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই সব বাঙালির হৃদয় ও কণ্ঠে অনুরণিত হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী’ নামটিও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।

ওএফ