জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, কেউ যদি শিক্ষকের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গোটা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। একটি আদর্শনিষ্ঠ সমাজব্যবস্থায় এরূপ অন্যায্য ও রুচিবহির্ভূত কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান ও সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। 

সিনেট চেয়ারম্যানের ভাষণে ড. মশিউর রহমান বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করা আমাদের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু কতগুলো বিষয় হয়ে উঠে দুঃখজনক এবং অতি পরিতাপের, যেমনটি সম্প্রতি ঘটেছে নড়াইল, সাভার এবং রাজশাহীর তিনটি কলেজে। আমি অত্যন্ত বেদনা, দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে এই অভিব্যক্তিই প্রকাশ করতে চাই, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আইন এবং আমাদের সমাজের প্রচলিত আদর্শকে লঙ্ঘন করে কেউ যেন শিক্ষকদের মর্যাদা নষ্ট না করে।

সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার বাজেট বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এ অর্থবছরে ৭৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত সম্বলিত রাজস্ব ও উন্নয়নসহ সর্বমোট ৯৭৬ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার বাজেট পেশ করা হয়। এর মধ্যে পৌনঃপুনিক (রাজস্ব) বাজেট ৪৮৫ কোটি  ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য ৪৯০ কোটি ২৬ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও সিনেটে অনুমোদিত হয়। 

সশরীরে অনুষ্ঠিত এ সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পিএসসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর প্রমুখ। 

এএজে/এসকেডি