আগামী ‌৩১ আগস্টের মধ্যে আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারি, আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর সংশোধন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস)।

রোববার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার পর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, গত ৩০ জুনের মধ্যে সমন্বিত পদ সৃজনের কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। নির্ধারিত সেই সময় পার হয়েও ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১২০টি কলেজের পদ সৃজন প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।

আত্তীকরণ বিধি সংশোধনের জন্য পাঁচ বার আবেদনপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। রিভিউ আবেদনেরও কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।

তিনি বলেন, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রভাষকরা চাকরিকাল আট বছর পূর্তিতে ৫:২ অনুপাতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে নবম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত হয়ে বেতনপ্রাপ্ত হয়েছেন। আর যারা অনুপাত প্রথার কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, তারা টাইম স্কেল পেয়ে নবম গ্রেড থেকে সপ্তম গ্রেডের বেতনপ্রাপ্ত হয়েছেন। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বেতন স্কেল নির্ধারণে বেতন সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না রেখে বেসরকারি আমলে টাইম স্কেল প্রাপ্ত শিক্ষকদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে অবনমন করে নবম গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে এবং কর্মচারীদের নবম গ্রেড থেকে অবনমন করে দশম গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে বেতন ভাতাদি নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং হবেন।

এসময় তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-

(১) আত্তীকরণ বিধিমালা- ২০১৮ এর অসংগতি দুরীকরণার্থে ১০০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করে সবক্ষেত্রে কার্যকর করা, পদসোপান তৈরি ও পদোন্নতির ব্যবস্থাসহ আমাদের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন করা।

(২) কালক্ষেপণ না করে সদ্য সরকারি করা কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা।

(৩) পদসৃজন বঞ্চিত শিক্ষক কর্মচারীদের রিভিউ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করে তাদের নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করা।

(৪) ৩১ আগস্টের মধ্যে সদ্য সরকারি করা কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণে পে প্রটেকশনের প্রজ্ঞাপন জারি ও বাস্তবায়ন করা।

সংবাদ সম্মেলনে সকশিস সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে যদি দাবি পূরণ করা না হয়, তাহলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী কলেজের সামনে এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। সেখান থেকে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি দীপু কুমার গোপ, মো. ইসহাক, আতিকুর রহমান সাইদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান পাঠান, মোজাম্মেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

এএজে/এমএইচএস