ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২১-২২) বিজ্ঞান ইউনিটের বিভাগগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান। সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। 

উপাচার্য বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের মান এবং পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, আমি দুটো কক্ষ পরিদর্শন করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ করে প্রশ্নপত্রের মান কেমন হয়েছে এবং কোনো ভুল-ভ্রান্তি আছে কি না, তা পরীক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছি। প্রশ্নের মান ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছেলে-মেয়েরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে, তাদের পরীক্ষা ভালো হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। 

উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয় যে, আমাদের আরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের প্রতি তাদের যে আস্থা, তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, গুণগত মান ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়ন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে৷ 

অধিভুক্তির পাঁচ বছরে শিক্ষার গুণগত মান কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেই মূল্যায়নের সুযোগ এখনো হয়নি৷ এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে৷ একইসঙ্গে আমাদের নানাবিধ প্রয়াস আছে৷ 

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকেরা আমাদের বলেন, ছেলেমেয়েরা এখন নিয়মিত ক্লাসে আসে। তারা পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে না বরং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে৷ এ বিষয়গুলো একটি ইঙ্গিত দেয় যে, সামগ্রিকভাবে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হওয়ার পথে আছে৷ হয়তো আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। কেননা সাত কলেজে এখনো শিক্ষক স্বল্পতা আছে, ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি সংকট আছে৷ এগুলো বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আমরা কলেজগুলোকে অনুরোধ করেছি একাডেমিক কাউন্সিলে এসে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে যেন সুপারিশ দেন। আমরা সরকারের মাধ্যমে সাত কলেজের সামগ্রিক অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা তৈরির জন্য কাজ করব।  

রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-১, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন-২, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকনোমিক্স কলেজ), আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইল্‌স‌ লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ ও মতিঝিল গভ. বয়েজ হাই স্কুল।

বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৫০০টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৯ হাজার ৫১৭টি। আর সবমিলিয়ে সাত কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন রয়েছে ২১ হাজার ৫১৩টি।

আরএইচটি/আরএইচ