দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী পোশাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় উচ্চ আদালতকে স্যালুট জানিয়েছে রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে তারা এ স্যালুট জানায়।

মানববন্ধনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ সোহেল রানা বলেন, একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। আমরা উচ্চ আদালতের এ সুন্দর পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্যকে স্যালুট জানাই।

তিনি বলেন, ‘আমার শরীর, আমার চয়েস’ এই তত্ত্ব যতটুকু সত্য, তার থেকেও বড় সত্য ‘কাউকে বিরক্ত বা ক্ষতি করার অধিকার আমার নেই’। তাই এমন পোশাক পরিধান করা কখনোই ঠিক হবে না, যা অন্যদের মাঝে বিরক্তি বা নুইসেন্স তৈরি করে।

মানববন্ধনে আরেক শিক্ষার্থী সজীব দে বলেন, বায়োলজিকাল আকর্ষণের বিষয়টি বৈজ্ঞানিক সত্য। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। অনেকে অপসংস্কৃতির পোশাক পরে বিপরীত লিঙ্গকে যৌন প্ররোচিত বা সিডিউস করতে চান। ব্যক্তির অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেউ যখন তাকে সিডিউস করার চেষ্টা করে তখন সেটা এক প্রকার মানসিক নির্যাতন, যা মূলত একটি ক্রাইম।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসাইন বিদ্যুৎ বলেন, সংস্কৃতি আর মূল্যবোধকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। বিদেশি সংস্কৃতি আসতে পারে, তবে সেটা আমরা তখনই গ্রহণ করব, যখন তা আমাদের মূল্যবোধের মাপকাঠিতে টিকে। যে সংস্কৃতি আমাদের মূল্যবোধের মাপকাঠিতে টিকবে না, সেটা আমরা কখনোই গ্রহণ করব না। অনেকে দেশি সংস্কৃতির গলায় ছুরি চালিয়ে এসব বিদেশি অপসংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়, এরা আসলে কালচারাল টেররিস্ট।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারকদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন।

এএজে/ওএফ