পিএইচডি করতে আগামী শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাঙ্গেরীর পথে রওয়ানা হবেন মো. ইয়ানুর আরাফাত হোসেন। পূর্ণ বৃত্তিসহ স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরীকাম স্কলারশীপ প্রোগ্রামের আওতায় বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে পড়তে যাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব পেচ-এ।

ইয়ানুরের বয়স ২৬। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পিএইচডি করতে যাওয়া কমবয়সীদের মধ্যে তিনিও একজন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ করেছেন। মেজর ছিল ফিন্যান্স, মাইনর ইকোনমিকস। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সের ওপর এমবিএ করেছেন।
 
বিবিএ করার সময়ই মূলত গবেষণায় ঝোঁক তৈরি হয়েছিল ইয়ানুরের। তিনি ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপে গবেষণা সহকারী ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এ তার পেপার ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ পায়।

২০১৯ সাল থেকে হাঙ্গেরী এবং বাংলাদেশ, দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরীকাম স্কলারশীপ প্রোগ্রাম শুরু হয়। ২০২১ সালে এমবিএ শেষ করার পরই আবেদন করেন ইয়ানুর।
 
ঢাকা পোস্টকে মো. ইয়ানুর আরাফাত হোসেন বলেন, সবসময় ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের জন্য কিছু করার। পিএইচডি প্রোগ্রামটি সেই সুযোগ করে দিল হয়তো। হাঙ্গেরীর ইউনিভার্সিটি অব পেচ ইউরোপের ২য় পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি বলেন, বিদেশে গবেষণার মাধ্যমে যে শিক্ষা নিয়ে আসব, সেটা দেশের কল্যাণে নিয়োজিত করার ইচ্ছা আমার। বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করতে পারেনি। পিএইচডি থেকে লব্দ জ্ঞান দেশের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিতে পারব। এতে উন্নত দেশ গড়ার পেছনে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করতে পারব।
 
ইয়ানুর বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিশ্রম করে। সরকারও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছে। শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলে আমি বিশ্বাস করি, তারা শুধু উপমহাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফাইট করতে প্রস্তুত।

পিএইচডি করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবার আগে একটি সঠিক পরিকল্পনা লাগবে। আমাদের পড়াশোনার কাঠামোতে গবেষণার আগ্রহ কম। বিশেষ করে বাইরের দেশে স্কলারশীপ পেতে সবার আগে গবেষণার প্রয়োজন হয়। সরকারি উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা এবং নিজের ইচ্ছা এই তিনটির সন্নিবেশ হলে আমরা খুব ভালো করতে পারব।

এএজে/এমএ