করোনার টিকা নিচ্ছেন এক নারী

ইতোমধ্যেই প্রাথমিকের দেড় লাখ শিক্ষক করোনার টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বাকিরা রেজিস্ট্রেশন করছেন। ৩০ মার্চের আগে সবাই টিকা নিতে পারবেন।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনায় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকদের করোনার টিকা দিয়েই ক্লাসে নিয়ে আসব। আশা করি, ৩০ মার্চের আগে তারা টিকা নিতে পারবেন।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সবাই সহায়তা করছে। তাদের কাছে চিঠি লিখছি, সহায়তা করছি। ক্যাবিনেট থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়ছে। ইতোমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে শিক্ষকদের যুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে ইউজিসির মাধ্যমে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২২০টি আবাসিক হলের এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এটা পাওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ মে খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সবাই যেভাবে টিকা নিচ্ছে আশা করি, পরিস্থিতি ভালো হবে। আজ পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ টিকা নিয়ে নিয়েছেন। টিকা নেওয়া যত বাড়তে থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে তত সুবিধা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এনএম/এফআর