ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল

প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর সংস্কার ও সেখানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১৫০ কোটি টাকা আবদার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এর মধ্যে মাত্র ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ টাকা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল সংস্কার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ পাবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ইউজিসির ১৫০ কোটি টাকা চেয়েছিল। ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে আবাসিক হলগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ২৪ মে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২২০টি আবাসিক হল খুল দিচ্ছে সরকার। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে হলগুলোতে নানা সংস্কার কাজের জন্য তাগাদা পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫০ কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পরিচালক (পরিকল্পনা) ফেরদৌস জামান বলেন, যে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া হচ্ছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে চাহিদা এবং প্রয়োজনবোধে এ টাকা বণ্টন করা হবে।

জানা গেছে, আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্যই বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে বেসিন ও বাথরুমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী হল থেকে সরবরাহ করা হবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এক বছর বন্ধ থাকায় এসব হলের অবকাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর আগে সেসব ঠিকঠাক করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, হলগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য কক্ষ পরিষ্কার ও রঙ করা, বাথরুম ও ডাইনিংয়ে নতুন বেসিন বসানো, হলের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল বসানো, স্যানিটাইজ করার উপকরণ কেনাসহ বিভিন্ন কাজে বরাদ্দের টাকা কাজে লাগানো হবে।

তবে হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হলে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বরাদ্দের ৫০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। রক্ষণাবেক্ষণ কাজের পেছনেই এ অর্থ ব্যয় করতে হবে।

এনএম/এফআর