সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর এবার করোনার টিকা পাচ্ছেন দেশের ৬০ হাজার কিন্ডার গার্টেনের প্রায় ১২ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারীদের করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে কেজি স্কুলে (বাংলা ইংরেজি মাধ্যম) কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের তথ্যের সফট ও হার্ড কপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবস্তরের শিক্ষকদের যখন টিকার আওতায় আনা হচ্ছিল তখন আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের টিকার আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দিতে সোমবার (১ মার্চ) নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। তার আগে ২২০টি আবাসিক হলের এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া হবে। 

মন্ত্রী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিকের এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষক টিকা নিয়েছেন। বাকিরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে যাবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষক-কর্মচারী টিকা পাবেন। সেজন্য সারাদেশে প্রশাসনের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষকদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সবাই সহায়তা করছে। তাদের কাছে চিঠি লিখছি, সহায়তা করছি। মন্ত্রিসভা থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে শিক্ষকদের যুক্ত করা হয়েছে।

এমএম/আরএইচ