প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি নিয়ে সারাদেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার কারিগরি বোর্ডের এইচএসসির বাংলা পরীক্ষার একটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উঠেছে। প্রশ্নটিতে দেশের একজন সাহিত্যিককে হেয় করে সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।  

দেখা গেছে, গত রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলা-২ সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের একটি উদ্দীপকে একজন লেখকের নাম উল্লেখ করে লেখা
হয়েছে,  ‘একুশের বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই মেসেজটা শোনার পর
আমি প্রশ্নটি সংগ্রহ করেছি। এই প্রশ্ন কোন শিক্ষক করেছেন খুঁজে বের করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব দিয়েছি। কে এই প্রশ্নটি
করেছেন তাকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এটি আসলে একটা মানসম্মানহানিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে কেন সব বোর্ডে এ ধরনের কাজ করছে, কী কারণে
করছে সেটি জানা দরকার। এ জন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্ন প্রণয়ন করার পর
মডারেটররা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক। অপরাধী
ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার
জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন পাণ্ডুলিপি বের করে এটার সঙ্গে কারা জড়িত তাদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ নিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা যারা প্রশ্নপত্র মডারেট করেছেন এবং সেট করেছেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি নিয়ে বিতর্ক হয়। এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি তদন্ত করবে শিক্ষা বোর্ড, একইদিনে প্রশ্নপত্রে মুদ্রণজনিত ভুলের কারণে
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন ও পুরাতন সিলেবাসের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।

এমএম/এসএম