নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের সেশন। আগামী বছরের মে মাসেই অনুষ্ঠিত হবে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা। মূলত সেশনজট ও করোনার বন্ধের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতেই দ্রুত সেশন শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত মাসেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। এখন নিয়মিত তাদের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান রয়েছে। ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন অবকাশের ছুটির আগেই এসব শিক্ষার্থীদের প্রথম ইনকোর্স পরীক্ষা এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে ২০২৩ সালের মে মাসেই চূড়ান্ত পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বিভাগগুলোতে শিক্ষকদের মাধ্যমে আমরা নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের প্রথম বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই সব শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া জরুরি। কেননা নানা কারণেই এই শিক্ষাবর্ষের সেশন শুরুর  নির্ধারিত সময় কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। সেজন্য দ্রুতই তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।

এছাড়াও স্নাতক ১ম বর্ষের এসব শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে। এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর ক্লাসের উপস্থিতি ৬০-৭৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে সে সকল শিক্ষার্থী ‘নন-কলেজিয়েট’  হিসাবে গণ্য হবেন। তারা পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হলে ‘নন-কলেজিয়েট’ ফিস দিতে হবে। আর যে সব শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতি ৬০ শতাংশ এর কম থাকবে তারা ‘ডিস-কলেজিয়েট’ শিক্ষার্থী হিসাবে গণ্য হবেন। এসব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই শুরু থেকেই নিয়মিত ক্লাস ও ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরবর্তীতে কোন ধরনের অজুহাত গ্রহণ করা হবে না। উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে যদি কেউ পরীক্ষায় বসার উপযোগী না হয় তাকে কোনোভাবেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।

আরএইচটি/এসকেডি