শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৪০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি মেলার আয়োজন করেছে রাজধানীর আফতাবনগরে প্রতিষ্ঠিত নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) থেকে শুরু করে এই ভর্তি মেলা, চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে ভর্তি মেলার ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঢালী।

জানা গেছে, যেখানে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলগুলোতে ভর্তি ফি নেওয়া হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, সেখানে নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তি ফি মাত্র ১০ হাজার টাকা। এমনকি কেউ যদি মেলা চলাকালীন ভর্তি হতে চান, সেক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ৬ হাজার টাকায় ভর্তি হওয়া যাবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ক্লাস চলাকালীন প্রতিটি ক্লাসে দুইজন করে শিক্ষক থাকবেন, যাতে করে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষা নিতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীরই কোনো রকম প্রাইভেট বা টিউশনের প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও স্কুল অ্যান্ড কলেজটিতে রয়েছে সুইমিং পুল, খেলার মাঠসহ নিজস্ব ভবনে পাঠদানের ব্যবস্থা।

মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ-

> নিজস্ব ভবনে, নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা।

> খেলার মাঠ ও সুইমিং পুলের ব্যবস্থা।

> অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পাঠদান।

> মাল্টিমিডিয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাস রুম।

> ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ।

> ক্লাসের শুরুতে নূরানি পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা।

> স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নতমানের ক্যান্টিন।

> ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি এসএমএসের মাধ্যমে অভিভাবকদের অবহিত করা।

আরও পড়ুন>>আফতাবনগরে নিজস্ব ভবনে বিশ্বমানের স্কুল

> সুসজ্জিত লাইব্রেরি, সায়েন্স ল্যাব ও কম্পিউটার ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা।

> প্রাইভেট ও কোচিংয়ের কোনো প্রয়োজন নেই।

> চমৎকার লোকেশন, উন্নত ও মনোরম পরিবেশ, ধূমপান ও রাজনীতি মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

> প্রতিমাসে একবার শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন ও অভিভাবকদের গঠনমূলক পরামর্শ গ্রহণ।

> দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা।

> প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গাইড টিচারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ।

> শ্রেণি পরীক্ষা, মাসিক পরীক্ষা ও সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা।

> ১ জানুয়ারি বই খাতা, ডায়েরি ও সিলেবাস সরবরাহ করা।

সহশিক্ষা কার্যক্রম

> খেলাধুলা, অভিনয়, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, শরীরচর্চা, ড্রইং ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।

> বিভিন্ন ক্লাব যেমন- সায়েন্স ক্লাব, আইসিটি ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব অ্যাক্টিভিটিজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা।

> বাংলা, ইংরেজি ও আরবি সুন্দর হাতের লেখা এবং সঠিক উচ্চারণের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান।

নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আফতাবনগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির সভাপতি আলমগীর হোসেন ঢালী বলেন, দেশে আধুনিক স্কুলিং চালু হলেও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। ক্রমবর্ধমান এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মূল রসদ আমাদের দক্ষ শিক্ষক প্যানেল এবং উপযুক্ত পরিবেশ। আমরা এ দুটি বিষয়কে সামনে রেখে সব পরিকল্পনা সাজিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র পাঠ্যনির্ভর পড়াশোনার গণ্ডি থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের বিকশিত জীবনবোধেও উৎসাহ দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সে কারণে স্কুলটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি অভিভাবকদের সব চাহিদা একই ছাদের নিচে দিতে পারবো। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ মান নিয়ে এই স্কুল মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

টিআই/এমএ