সারা দেশে একযোগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে এবার গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এদিকে এসএসসি ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পেরে ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীদের এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।

ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ৯৯.৭৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া মোট কতজন পাস ও কতজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে তার হিসাব চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ১টায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১টায় স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। দলে দলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বোর্ডে ফল দেখা শুরু করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বোর্ডে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ফল দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে মেয়েদের জিপিএ-৫ এর মতো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে দেখে অভিভাবকরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন।

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী নাভিলা নুসরাত জাহান বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় হচ্ছে ১০ বছরের পড়াশোনার ফল। আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমরা ১০ বছরের কষ্টের ফল পেয়েছি আজ। আমার এই ফলের জন্য আমার মা-বাবা ও শিক্ষকরাও অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী রনক জাহানও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে এসএসসির প্রস্তুতি নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম। সব শেষ অভিভাবকদের সহযোগিতা ও শিক্ষকদের দিকনির্দেশনায় পরীক্ষা দিয়েছি। আজ জিপিএ-৫ পেয়েছি। আজকের এই ফল দেখে খুব খুশি হয়েছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই ভবিষ্যতেও যেন এই ফল ধরে রাখতে পারি।

মেয়েদের ফল দেখে নাভিলা ও রনকের মা বলেন, তাদের মেয়েরা অনেক পরিশ্রম করে আজকের এই ফল পেয়েছে। মায়েরাও তাদের সঙ্গে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করেছেন। করোনাকালে যেন মেয়েদের পড়াশোনা স্বাভাবিক থাকে সেদিকে তারা সবসময় লক্ষ্য রেখেছিলেন।

এমএসি/এসএসএইচ/