মানবজীবন এক শিক্ষা ভ্রমণ। মানুষ যতক্ষণ শ্বাস নেয় ততক্ষণ কিছু না কিছু শেখে। নানাভাবে শেখে। তার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। কারণ, এর মাধ্যমে একজন মানুষ জীবন ও জীবিকার জন্য প্রস্তুত হয়। আগামী বিশ্বের হাল ধরতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাকে প্রস্তুত করে। 

অথচ দীর্ঘ এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কপাট বন্ধ। প্রাণঘাতী করোনার দাপটে গত বছর ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এক বছরের বেশি সময় পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করা এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরা। এর সঙ্গে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার ও ঝরে পড়া রোধ করা বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা পরিবারের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনাও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারকে কিছু সুদূরপ্রসারী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।

শিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতোমধ্যে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে ২০২০ সালের প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে অটোপ্রমোশন দেওয়া হয়েছে। জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি’র শিক্ষার্থীদের বিশেষ মূল্যায়ন করা হয়েছে।

· শিক্ষার সবাইকে টিকার আওতায় আনা বড় চ্যালেঞ্জ
· বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি
· শিক্ষা পুনরুদ্ধারে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প

২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা প্রায় ৭০ শতাংশ সিলেবাস কমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২২ সালেও এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। আর প্রাথমিক থেকে সব শ্রেণিতেই কমছে সিলেবাস।

তবে আগামী দুই তিন বছর শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার, অনিয়মিত উপস্থিতি, শিশুশ্রম বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ, পরিবারে শিশু ও নারী নির্যাতন, খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতা বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর গোলাম মো. ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের আয়রন ও ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এতে তাদের পুষ্টিহীনতা দূর হবে। ইতোমধ্যে দেশের লক্ষাধিক শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই এ ট্যাবলেট খাওয়ানো শুরু হবে।

তিনি জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সব স্কুলে একজন কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাচের জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিতে হবে
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০ সালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাচগুলোর ক্ষতি পোষাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে। বিশেষ করে মাধ্যমিকের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ চারটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুই বছরের মধ্যে এক বছর শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেনি। মৌলিক বিষয়গুলো যেন অন্তত ভালোভাবে পড়ানো যায়, সেরকম সিলেবাস করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে তা শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।

টিকা দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ
স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী; ২২০টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাধিকারভুক্ত কিন্ডার গার্টেন থেকে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের সবাইকে টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা বিশাল। ফলে সবাইকে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ লাখ টিকা বরাদ্দ রেখেছে। এছাড়া যারা বয়সে চল্লিশোর্ধ্ব, তারা সাধারণ ক্যাটাগরিতে টিকা পাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে প্রায় ১১ লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনা অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সবার মধ্যে টিকা নেওয়ার যে আগ্রহ দেখা গেছে তাতে সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষা পরিবারের জন্য রিজার্ভ টিকা রেখেছে। আমাদের চাহিদামতো টিকা পাওয়া যাবে আশা করি।

প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় দুই লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। আরও এক লাখের মতো নিবন্ধন করেছেন। তারাও অল্প সময়ের মধ্যে টিকা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মো. মনসুরুল আলম। তিনি বলেন, শুধু প্রাথমিক নয়, কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও এ টিকার আওতায় আসছেন। 

ঝরে পড়া রোধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ
করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের ফের ক্লাসে এনে শিক্ষামুখী করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ঝরে পড়বে। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এক জরিপে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল পর্যায়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। ঝরে পড়ার হার, অনিয়মিত উপস্থিতি, শিশুশ্রম বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ, পরিবারে শিশু ও নারী নির্যাতন, খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতা শিক্ষাসেবার জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা রয়েছে।

এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনার পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) রয়েছে। এটা বাস্তবায়নের একমাত্র পথ শিক্ষা।

বাজেটে শিক্ষা পুনরুদ্ধারে বরাদ্দ রাখতে হবে
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে গার্মেন্টস খাতসহ অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। অনেকটা সফলও বলা যায়। তবে অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষা খাতকেও উদ্ধার করতে হবে। শিক্ষাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে নিতে প্রণোদনা দিতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনসুর আহমেদ বলেন, আগামী দুই বছর সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে নিয়মিত শিক্ষার্থী। ঝরে পড়া রোধ, ক্ষতিগ্রস্ত, দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ধরে রাখতে হলে তাদের নানা প্রণোদনা দিতে হবে। উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়িয়ে আরও লোভনীয় প্যাকেজ দিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে শিক্ষার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা দরকার। প্রতি উপজেলার জন্য ১০ কোটি টাকা প্রস্তাবিত শিক্ষা উদ্ধার কমিটির তত্ত্বাবধানে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর মাধ্যমে কাজে লাগানো যেতে পারে। এই ব্যয় প্রচলিত দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।

স্থবির শিক্ষায় আলো ছড়াতে ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প
করোনার ক্ষতি পোষাতে সরকারের নানা উদ্যোগের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই)’ ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স (সিএসএসআর)’ প্রকল্পের আওতায় ১২০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পুরো ২৫ লাখ শিক্ষার্থীর দূরশিক্ষণের জন্য ৩৫টি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় নতুন শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে (পরীক্ষা) ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা করা; শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সেবা দেওয়া; বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সঙ্কট মোকাবিলায় বিদ্যালয় ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা; ভবিষ্যতে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং মূল বিদ্যালয়ের সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম একীভূত করা; জরুরি পরিস্থিতি তথা দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধের পরিস্থিতিতে কৌশল ও মানসম্মত পরিচালনা কার্যপ্রণালি প্রণয়নে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা হবে।

দুই-তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রকল্প নিতে হবে
আগামী দুই-তিন বছর শিক্ষা উদ্ধার পরিকল্পনায় প্রধান কাজ হবে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে এনে ধরে রাখা, ঝরে পড়া ও অনিয়মিত উপস্থিতি রোধ করা, পাঠদানে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দেওয়া, যে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে তাদের অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করা, উৎসাহ দেওয়া, শিক্ষকদেরও আশ্বস্ত করা এবং তাদের বেতনভাতা নিশ্চিত করা। বিদ্যালয়ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষকদের অতিরিক্ত সেবাদানে প্রণোদনাসহ উদ্বুদ্ধ করা।

ক্লাস-পরীক্ষার জন্য আন্দোলন  
আগে পরীক্ষা না নেওয়া বা পেছানোর আন্দোলন হতো। করোনা পরবর্তী সময়ে এখন পরীক্ষা সময়মতো হওয়া এবং এগিয়ে নেওয়ার আন্দোলন হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার কমার পর গত ডিসেম্বর মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের অনেক শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের পর আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে হলে ওঠানোর শর্তে আগামী ২৪ মে থেকে সব উচ্চশিক্ষাঙ্গন খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলমান পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এনএম/এইচকে/এমএমজে