শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, যারা বিদ্যমান আইনের আওতায় আছেন অর্থাৎ যাদের বয়স ৩৮ এর কম তারা আবেদন করতে পারবেন এবং চাকরি প্রাপ্তির সুযোগ থাকবে। করোনার কারণে তিন বছরের একটা ছাড় আইন অনুযায়ী পাবেন। 

সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে প্যানেল প্রত্যাশীদের নিয়ে এক আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তা এবং প্যানেল প্রত্যাশীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন>>শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ আছে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের চতুর্থ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাদের আবেদনের যোগ্যতা রয়েছে তাদের নেওয়া হবে। নিবন্ধিত এবং বয়স ৩৮ এর কম এমন যারা আছেন তাদের একটি সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটিও আইনের মধ্যেই। আমাদের যতগুলো পদ খালি আছে শুধুমাত্র ততগুলো পদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। পদের চাইতে বেশি লোক নিবন্ধিত হয়েছে। এদের মাঝে কেউ চাকরি পেয়েছেন, অনেকেই পায়নি। এমন নানা বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সব দাবি দাওয়া এবং এনটিআরসিএর সব আইন কানুন পর্যালোচনা করেছি। এখানে বিভিন্ন সময়ে আইন কানুনে বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। যারা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিবন্ধন পেয়েছেন এবং আবেদন করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা করেছেন সেগুলোও আমরা পর্যালোচনা করেছি।  চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাদের বয়স নির্ধারিত সময়ের বাইরে চলে গেছে তাদের আমরা নিতে পারছি না। তবে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যারা আবেদন করছেন তাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে। আমাদের আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখানে অনেকেই আছেন যারা এ আইনের বাইরে পড়ে গেছেন তাদের নেয়ার সুযোগ নেই। অনেকেই মানবিকতার কথা বলেছেন। আমরা তাদের সমস্যার কথা বুঝি কিন্তু আমাদের আইনের বাইরে যেয়ে কিছু করবার সুযোগ নেই। 

আরও পড়ুন>>শিক্ষা বিস্তারে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ২০০ দিনের অধিক সময় আন্দোলন করেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিতরা। ২০২২ সালের গত ৫ জুন থেকে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।  ২০০ তম দিনে (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন তারা। শাহবাগ অবরোধ করায় পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা। 

এমএম/এমএ