৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় তৃতীয় দফায় বাড়ছে। একইসঙ্গে ঘোষিত ৬ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আবেদনের সময় কতদিন বাড়ানো হবে তা জানা যায়নি। আবেদনের সময় ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় ঠিক করতে শীঘ্রই বৈঠকে বসছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময় বাড়ছে। তবে কতদিন বাড়বে তা ঠিক করতে পূর্ণ কমিশনের সভা ডাকা হবে। সেখানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও কতদিন বাড়ালে সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদনকারীকে এ বিসিএসের আওতায় নিয়ে আসা যাবে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পিএসসির পরীক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। চলতি মাসের আরও ১৮দিন বাকি আছে। এরমধ্যে আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার আবেদন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সে সিদ্ধান্তও বাতিল হবে। সেজন্য প্রয়োজনে চলমান বিসিএস পরীক্ষা পেছানো হবে।

এর আগে সেশনজটে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়াতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছিল। সে চিঠি আমলে নিয়ে আবেদনের সময় ৩১ জানুয়ারি থেকে দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। একইসঙ্গে ৬ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখন যেহেতু মে মাসের ২৪ তারিখের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই আবারও সময় বাড়ানোর বিষয়টি সামনে এসেছে।

করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নিতে পারেনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে অনুরোধ করে। তাদের যুক্তি ছিল, করোনার কারণে প্রায় ১ বছর বন্ধ থাকায় অনার্স পর্যায়ের অনেক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব পরীক্ষা শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা যাতে অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে বিসিএসে আবেদন করতে পারেন সে সুযোগ চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানোর কথা বলে। এর প্রেক্ষিতে পিএসসি দুই মাস সময় বাড়ায়।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসনে ৩০০ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, শিক্ষায় ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন

প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য প্রার্থী ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর কাটা যাবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

এনএম/আরএইচ