এক বছর পর আগামী ৩০ মার্চ খুলতে যাচ্ছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার আগে স্কুলগুলোর পরিবেশ সুরক্ষিত করতে অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সামগ্রী কিনতে পারছে না স্কুলগুলো।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মফস্বলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু স্কুল-কলেজে চেয়ার, টেবিল, মেঝে, স্কুলের বাউন্ডারির দেয়াল, ওয়াশরুম, খেলার মাঠসহ নানাকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সেগুলো পুনরায় সংস্কার করা না হলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সরকারি-বেসরকারি স্কুলের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অর্থ সংকুলান করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই স্কুলের জন্য বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

এ প্রসঙ্গে মাউশি’র পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মো. বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এগুলো ঠিকমত হচ্ছে কি না তার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। মাউশির একাধিক টিম ও জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করছেন।

স্কুলের বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা আছে, তারা যদি আবেদন করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পর্যায়ের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে অর্থ সংকট সমাধানে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বিত্তবান ও বিভিন্ন এনজিও এগিয়ে আসছে।

আগামী ৩০ মার্চ থেকে যেসব স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরুর জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না, মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে সেগুলোর তালিকা চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত ১০ মার্চ মাউশি থেকে সারাদেশের নয় আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে চিঠি দিয়ে ১৫ মার্চের মধ্যে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাউশির উপপরিচালক (বিদ্যালয়) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন জেলার রিমোট এলাকার কিছু স্কুল-কলেজ অর্থ সংকটের কারণে আগামী ৩০ মার্চেও মধ্যে পাঠদান শুরুর প্রস্তুতি শেষ করতে পারছে না। অনেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য আমরা সারাদেশ থেকে তথ্য চেয়েছি।

এনএম/আরএইচ