এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ফল জানতে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে ফলপ্রত্যাশী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি। এরপর প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে কর্তৃপক্ষের টানিয়ে দেওয়া ফল দেখে উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। সন্তানের ফলে খুশি পরিবারের সদস্যরাও।

এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ফল পাওয়ার পর আনন্দে মেতে ওঠেন ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা। দল বেঁধে উল্লাস আর ‘ভিকারুননিসা, ভিকারুননিসা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দীর্ঘ সাধনা-পরিশ্রমের পর কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে আনন্দ প্রকাশে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে, ছবি আর সেলফি তুলতে ব্যস্ত তারা। আনন্দে বাজাচ্ছেন ড্রামও।

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর মা মাহবুবা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রত্যাশা যেমন ছিল মেয়ের কাছ থেকে তেমনি ফল পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার ইচ্ছা মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হবে। এখন যদি তার পছন্দমতো জায়গায় ভর্তি হতে পারে সেটি হবে আমাদের প্রত্যাশা।

অপর এক অভিভাবক নাজমুনা মুক্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাচ্চারা কষ্ট করেছে, আমাদের কষ্ট হয়েছে। কষ্টের পর ওরা একটা ভালো ফল উপহার দিয়েছে, এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

পাস করা শিক্ষার্থী মাইশা জারিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমাদের বিশেষ একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি ওভারকাম করে আমরা আমাদের চেষ্টাটা চালিয়ে গিয়েছি। প্রত্যাশা অনুযায়ী একটা ফল হয়েছে, আমরা সবাই।

এবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে মোট ২ হাজার ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২ হাজার ৩৩৯ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭ জন। প্রতিষ্ঠানটিতে পাসের হার ৯৯.৮৩ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পেয়েছেন ২ হাজার এক জন শিক্ষার্থী এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ৮৫.৭০ শতাংশ।

এমএইচএন/জেডএস