দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গ্রিন, ক্লিন, সেইফ এবং স্মার্ট ক্যাম্পাসে গড়ে তুলতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান দিয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মনোনীত ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল নথি সিস্টেমের (ডি-নথি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পলক বলেন, দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে গেছে। এখন আমরা নলেজ বেইজড ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোনো সময় ও স্থান থেকে ইলেকট্রনিক্যালি অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ই-নথি চালু করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার দপ্তরে লক্ষাধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করেছে, যার সংখ্যা ২ কোটির বেশি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট-এ চারটি জায়গা ঠিক করে দিয়েছেন। ইনোভেটিভ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার, একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্টনারশিপ দরকার। এ লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এগুলো হচ্ছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

এনএম/জেডএস