হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার নির্দেশ পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। 

বুধবার (১৬ মার্চ) ডিপিই সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলামের সই করা চিঠিতে দেশের সব প্রাথমিক বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও পিটিআই সুপারিনটেনডেন্টকে তা মনিটরিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিপিই চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৭ মার্চ সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে মর্মে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সে আলোকে বুধবার (১৭ মার্চ) সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিধি মোতাবেক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

একই ধরনের নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির নির্দেশনা বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করতে হবে।

সোমবার (১৫ মার্চ) মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়,  সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপন করতে হবে। স্কুল-কলেজে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ, স্মরণিকা প্রকাশ, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি অনুষ্ঠান নিজ উদ্যোগে আয়োজন করতে হবে। 

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-অফিস ভবনে সৌন্দর্যবর্ধন, সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং মহান স্বাধীনতার মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, উদ্ধৃতি, জন্মশতবার্ষিকীর লোগো সম্বলিত নান্দনিক ব্যানার ভবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মাপ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। 

শিক্ষার্থীরা ১০০ শব্দে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কল্পনায় ধারণ করে পত্র লিখবে। পত্রে তারা জাতির জনককে জানাবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৃপ্তপদে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের কোন কোন অর্জন কেন, কীভাবে তাদের মুগ্ধ করেছে।

এনএম/এইচকে