তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না- বঙ্গবন্ধুর এই অমিয় বাণীই আজকের উন্নয়নের সাফল্যগাঁথা। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মোবাইল অ্যাপ ও গেম ইন্ডাস্ট্রি বিশাল অবদান রাখছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের বর্তমান রপ্তানি আয় প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে সরকার কাজ করছে। 

তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারের উপযোগী করে মোবাইল অ্যাপ ও গেম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ ডেভেলপার তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটের এ ধরনের ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মে মাঝে উদ্যোক্তা মনোভাব ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশের অর্থনীতিতেও মোবাইল অ্যাপ ও গেম ইন্ডাস্ট্রি অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

শনিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মোবাইল অ্যাপ, গেইম ও জব ফেস্টিভ্যাল বিষয়ক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সমাজকর্মী ফারাজ করিম চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন, চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হক। 

চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, মোবাইল অ্যাপস ও গেম এখন বিশ্বব্যাপী একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতেও মোবাইল অ্যাপস ও গেম হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ খাত। সরকার এ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধা ও সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটিয়ে মোবাইল অ্যাপস ও গেম তৈরিতে এগিয়ে এলে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে স্মার্ট ক্যারিয়ার উইথ অ্যাপ অ্যান্ড গেইম, দ্য রাইজ অব অ্যানিমেশন : অ্যাক্সপ্লোরিং দ্য ক্যারিয়ার, পিপল, ট্রেনিং অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যানিমেশন মুভি স্ক্রিনিং ও প্রেজেন্টেশন অন শর্ট লিস্টেড গেম অ্যান্ড অ্যাপ শীর্ষক পৃথক পাঁচটি সেশন পরিচালিত হয়।

ওএফএ/ওএফ