কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রোববার (৫ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দমদম মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি চারুকলা এসইডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কলিমুল্লাহ, শরীয়তপুর তুলাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুর রাজ্জাক, নেত্রকোনার কেন্দুয়া রামপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কর্মকার দিলীপ কুমার সরকার, ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নাসরিন আক্তার, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নাফুরা ফাম উচ্চ বিদ্যালয়ের রানি বালা দাস ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মিল্টন কুমার রায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ঘোষণা ব্যতিরেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত পরিদর্শনের প্রতিবেদন (নভেম্বর/২০২২ মাসের) মাউশি অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে মাধ্যমিক উইং-এ প্রেরণ করা হয়। ওই পরিদর্শন প্রতিবেদনে বিভিন্ন জেলার নিম্নোক্ত শিক্ষক/কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অননুমোদিতভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ আগামী পাঁচ কর্ম-দিবসের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য তাদের অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই দুই থেকে তিন দিন স্কুলে আসেন না। তবে এটি সতর্কীকরণ নোটিশ। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং। 

এনএম/কেএ