জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা চায় তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে দেশের সেবা করতে। আমরাও তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ প্রদানের চেষ্টা করি। আমাদের পূর্বপ্রজন্ম যারা দেশ স্বাধীনের জন্য জীবন দিয়েছেন, তারা এটাই চেয়েছিলেন যে, আধুনিক প্রজন্ম একটি সুন্দর দেশ পাবে। নিজেকে ছোট বা হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। মেধার দৌড়ে যদি পিছিয়ে যাও, জীবনের দৌড়ে অনেক বেশি এগিয়ে যাওয়াই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।

সোমবার (১৩ মার্চ) তেজগাঁও কলেজে আয়োজিত প্রফেশনাল কোর্সের (অনার্স ও মাস্টার্স) অরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করা যাবে না। প্রাচ্যেরও অনেক প্রাচুর্য রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে চুক্তি করার আগে সে অঞ্চলে সংঘাত ছিল। আমরা তার সমাধান করেছি। বিশ্বব্যাংক বলেছিল পদ্মা সেতু করা সম্ভব হবে না, কিন্তু আমরা সেটা বাস্তবায়ন করেছি। তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই, নিয়মিত অধ্যয়ন করবে। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও জানার চেষ্টা করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা বজায় রাখতে হবে। কারণ এগুলোই একজনকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বইও পড়তে হবে। সাংস্কৃতিক বোধ যদি তৈরি না হয়, তাহলে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, তেজগাঁও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. খন্দকার বজলুল হক, তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

এ সময় বিবিএ, সিএসই, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ও থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের শিক্ষার্থীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

ওএফএ/এমএ