মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন দাবি করেছে ২০০০ বিধিতে আত্তীকৃত বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে তারা বঞ্চনা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

শনিবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক ফোরামের (বাসকশিফো) সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ।

জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা- ২০০০ এ আত্তীকৃত শিক্ষকদের অভিযোগ, সরকার মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারি স্কুল-কলেজ নেই এমন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও মাউশিতে দায়িত্বরত একটি বিশেষ মহল তা বাস্তবায়নে তালবাহানা করে আসছে। আত্তীকরণের ১০ বছর পার হলেও অধিকাংশ শিক্ষকের চাকরি নিয়মিতকরণ করা হয়নি। প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা অর্জন এবং তাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ হলেও বছরের পর বছর ধরে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। জুনিয়ররা পদোন্নতি পেলেও আত্তীকৃত যোগ্য সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। এসবের প্রতিকার চেয়ে বিধিসম্মত সুনির্দিষ্ট অধিকার প্রাপ্তির জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও কোনো সাড়া মিলছে না। সময়ক্ষেপণ করায় ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষক নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি ছাড়াই চাকরিজীবন শেষ করে খালি হাতে ফিরে গেছেন। সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহাম্মদ জাকির বলেন, ১৯৮১ বিধিতে আত্তীকৃত ১৮ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকদের দায়ের করা একটি মামলার রায়ের অপব্যাখ্যা করে ২০০০ বিধিতে নিযুক্ত আত্তীকৃত শিক্ষকদের অহেতুক ওই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ তারা কেউ ওই মামলার পক্ষভুক্ত নন এবং ১৯৮১ বিধিতে আত্তীকৃতদের সঙ্গে তাদের বিধিগত কোনো মিল বা সম্পর্কও নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী এক মাসের মধ্যে বঞ্চিতদের আত্তীকরণের তারিখ থেকে নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

/এসএসএইচ/