বিদ্যালয়ে সহায়ক পরিবেশ, সমান সুযোগ ও সহায়তা পেলে নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু বিকশিত হতে পারে নিজ নিজ সম্ভাবনায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরিতে, জীবনের লক্ষ্য বেছে নিতে এবং সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি বিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিদ্যালয়। ঢাকায় আয়োজিত মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন অংশগ্রহণকারীরা।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ নামে একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তত্ত্বাবধানে সুরভি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্প ও মানিকনগর মডেল হাই স্কুলের যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এর উদ্বোধন করেন মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই মেলায় অংশ নেন।

মেলায় বিভিন্ন স্টল সাজিয়ে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য তুলে ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কীভাবে সহায়তা করছে তা জানায়। 

মাউশির উপ-পরিচালক (বিশেষ) সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নেই। এজন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেন মেয়েসহ সব শিশু নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করে জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।

মাউশির সহকারী পরিচালক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, স্কুল তখনই আদর্শ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে যখন তারা জেন্ডার সমতা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে ও শিক্ষকরা প্রশিক্ষিত হবেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সবশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, ডিসপ্লে প্রদর্শন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

জেইউ/কেএ