অবিলম্বে স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা প্রকাশ এবং চলতি অর্থবছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ। একইসঙ্গে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি ৬ দফা সুপারিশও জানিয়েছে। 

সোমবার (২২ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি ও সুপারিশ জানায় সংগঠনটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি তাদের সুপারিশগুলো হচ্ছে- শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি অ্যাপ চালু করা, অ্যাপে থাকা বাংলাদেশের মানচিত্রের যেকোনো স্থানে ক্লিক করলেই সেখানে নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা যাবে কি না তা নিদের্শ করবে; প্রতি শ্রেণির ন্যূনতম কাম্য শিক্ষার্থী যোগ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম কাম্য শিক্ষার্থী নির্ধারণ করা। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীও নির্ধারণ করা; নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি) এপিওভুক্তির ক্ষেত্রে সহজ সিদ্ধান্তে আসা; মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর থেকে এসএসসির শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর কাম্য সংখ্যা কিছুটা কম রাখা; কলেজে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখার ন্যূনতম শিক্ষার্থী নির্ধারণ করা এবং স্বীকৃতির মেয়াদ ১০ বছর অতিক্রান্ত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক শরীফুজ্জামান আগা খান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের পলিসি ও পরিকল্পনার ওপর বহুলাংশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান নির্ভর করে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতীতে যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে এবং এখনও দিয়ে চলেছে। নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হলে স্বাভাবিকভাবেই পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা হ্রাস পায়। এলাকাবিশেষে অতিরিক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেওয়ায় এমপিওপ্রত্যাশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর কাম্যমান অর্জন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৫-২০ বছর চরম অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার। দুঃখ-কষ্ট ও অসম্মানে আমাদের মুখে হাসি নেই। আমরা মুজিববর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির একটি সামগ্রিক সমাধান প্রত্যাশা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ বারী তালুকদার, আবু বকর মো. এরশাদুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান জুয়েল, মাহবুবুর রহমান, হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এইচকে