শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের পর বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার কথা ভাবছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের একটা বৈঠক রয়েছে। আমরা জাতীয় কমিটির সঙ্গেও কথা বলব। আগামীকালের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। আপনারা জানেন গত বছর থেকে যে চেষ্টা করছি সেটি হলো শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা। 

তিনি বলেন, যেভাবে দেশে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল, তাতে আমরা খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলব। কিন্তু শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে করোনার নতুন যে ঢেউ এসেছে তাতে খুব দ্রুততার সঙ্গে এখানেও গত কয়দিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, এই পরিস্থিতিতে ছুটির তারিখ পুনর্বিবেচনা করছি। আজকে আমাদের যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি আছে তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ঈদের পরে খোলা হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকও হয়তো ওই সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই চাই, কেউ যেন সংক্রমিত না হয়। সবার প্রতি অনুরোধ, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। মাস্ক পরিধান করি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখি। এর কোনোটাই করা হচ্ছে না, কিন্তু আমরা সবাই যেন এগুলো মেনে চলি। কারণ সংক্রমণ কমানোর এটিই একমাত্র উপায়।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক ও কর্মচারীদের সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সে ব্যাপারে একদম নিশ্চিত থাকতে পারেন। 

করোনাভাইরাসের কারণে এক বছরের বেশি সময় পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা রয়েছে। তবে দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে রাজি নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

তবে গত এক বছর যেভাবে এক মাস বা ১৫ দিন করে ছুটি বাড়ানো হয়েছিল সেই পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এবার ভিন্নভাবে ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে এখনই কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

২৬ মার্চের পর করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত পরামর্শক কমিটি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেখানে ধাপে ধাপে ছুটি না দিয়ে যখনই পরিস্থিতি উন্নতি হবে তার এক মাস বা ১৫ দিন আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে এমন দোলাচলে থাকতে হবে না শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।

এইউএ/ওএফ/এমএমজে