এমপিওসহ মাদ্রাসার নানা কাজ করিয়ে দেওয়ার নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

বুধবার (৩ জুলাই) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এমপিওভুক্তি, বিশেষ বরাদ্দ, উচ্চতর গ্রেড দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর বলছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে এমপিও সংক্রান্ত কাজের জন্য কেউ টাকা দাবি করলে পুলিশকে জানাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এমপিওভুক্তি, এমপিওভুক্ত মাদরাসায় বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, উচ্চতর স্কেল দেওয়া, পদোন্নতি, ডিজির প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্মতারিখ সংশোধন, বকেয়া দেওয়া, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্সে দেওয়া, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস ও প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসায় ফোন, ই-মেইল, এসএমএস করে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা দিয়ে থাকে। টাকার বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।

যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে টাকা দাবি করে সেসব নম্বরগুলো চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, এ ধরনের প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি বা কথিত কর্মকর্তার ই-মেইল, এসএমএস ফোন, চিঠিপত্র বা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনো টাকা বা উপহার না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা টাকা দাবি করলে বুঝতে হবে এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এনএম/এমজে