বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে তারা এ ভাতা তুলতে পারবেন।

সোমবার (১২ এপ্রিল) বৈশাখী ভাতার ৮টি চেক বণ্টনকারী ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতার টাকা তুলতে পারবেন।  

তবে চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সব ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য মঙ্গলবারই চেকের মাধ্যমে তাদের এ টাকা তুলতে হবে।

লকডাউনের আগে মাত্র একদিন সময় আছে। তাও ব্যাংকের লেনদেন হয় মাত্র চার ঘণ্টা। এই চার ঘণ্টায় সারাদেশে পাচঁ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কীভাবে টাকা তুলবেন এ প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকরা বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীরা ১০ এপ্রিলের মধ্যে এ ভাতা পেলেও বেসরকারি শিক্ষকদের শেষ সময়ে কেন দেওয়া হলো? শিক্ষা ক্যাডারের সরকারি কলেজ, স্কুল শিক্ষক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতার টাকা ১০ এপ্রিলের আগেই পেয়েছেন।

জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন। এবার বৈশাখী ভাতা বাবদ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মোট ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে।

২০১৯ সাল থেকে বৈশাখী ভাতা পাওয়া শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ওই বছর থেকেই শিক্ষকরা ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছরও মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা পাবেন।

এনএম/জেডএস/জেএস