আইডিয়ালের আলোচিত গভর্নিং বডির বিদায়
১২টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করলেন বিদায়ী সভাপতি
রাজধানীর আলোচিত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হচ্ছে রোববার (১৯ নভেম্বর)। ভোটার জটিলতা, দাতা সদস্যের তালিকাসহ নানা জটিলতায় গভর্নিং বডির নির্বাচন করতে পারেনি। এর মধ্যে এডহক কমিটির করতে শিক্ষাবোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান।
এদিকে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমান গভর্নিং বডি ছিল আলোচিত সমালোচিত। ১৩ জনের পরিচালনা কমিটির সাতটি পদই ছিল শূন্য। তবে পদগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য ঘোষণা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়। বিদায়ের সময় প্রতিষ্ঠানের ১২টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুলের মূল শাখায় গভর্নিং বডির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ঢাকা জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের জানানো হয়, বর্তমান গভর্নিং বডি মেয়াদকালে (২০১৭-২০২৩) আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মুগদায় নতুন স্কুল ভবন, ইংলিশ ভার্সন, বনশ্রীতে কলেজ ভবন, কলেজ শাখা, ৩ শাখায় লিফট, টিচার্স রুম আধুনিকীকরণ, মুগদায় অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, মতিঝিলের অডিটোরিয়াম, সকল শাখায় শহিদ মিনার নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত, টয়লেট উন্নতকরণ ও মেয়েদের বিশেষ টয়লেট ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু কর্নার, লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণ, সবুজায়ন ক্যাম্পাস, খেলার মাঠ উপযোগী, উন্নতমানের ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার সরবরাহ, মতিঝিল ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বেষ্টনী, উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা ও মনিটর, আধুনিক ল্যাব ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে গিয়ে গত সাত বছরের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি যেন ভালোভাবে চলে সেই প্রচেষ্টা ছিল সব সময়ে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে।
এ জন্য তিনি শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, তারা যেন শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম অনুসারে পাঠদানে সক্রিয় হন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে এই কারিকুলামের ইতিবাচক দিক ফুটিয়ে তুলেন।
এনএম/এসকেডি